২। ফরমের ৪র্থ পৃষ্ঠায় একজন সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।
৩। পূরণকৃত ফরমে সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। তবে আবেদনকারী ১৫ বছরের কম অর্থাৎ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে বাবা ও মায়ের স্টাম্প সাইজের দুই কপি করে রঙ্গিন ছবিও আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। ছবি লাগানোর পর তা সত্যায়িত করতে হবে।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদ পত্রের দুই কপি (সত্যায়িত করে নিতে হবে)।
৫। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, গাড়ি চালক কিংবা অন্যান্য কারিগরী পেশায় জড়িতদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদপত্র সত্যায়িত করে সংযুক্ত করতে হবে।
৬। অফিসিয়াল পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য সরকারী আদেশ তথা গভ. অর্ডার বা জিও সংযুক্ত করতে হবে।
৭। অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে পেনশনবুকের ফটোকপি প্রদান করলে সাধারণ ফিতে জরুরী সেবা পাবেন।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে | documents required for E Passport
পাসপোর্ট আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেই সমস্যাকে কিছুটা হলেও লাঘব করতে পেরেছে ই পাসপোর্ট আবেদন সেবা। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ই পাসপোর্টের জন্য কোন কাগজ, ছবি সত্যায়িত করতে হয় না এবং ই পাসপোর্ট আবেদনপত্র অনলাইনে করতে পারবেন। ই পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগবে তা দেখে নিন:
১। পরিচয়পত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
২। বাবা মায়ের ভোটার আইডি: অপ্রাপ্ত বয়স্ক পাসপোর্ট আবেদনকারীর জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি বাবা ও মায়ের ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার।
৩। কারিগরী সনদ: কারিগরী পেশার সাথে জড়িত থাকলে টেকনিক্যাল সনদ আপলোড করতে হবে।
৪। স্টুডেন্ট আইডি কার্ড: ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড অথবা প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি ও ফটোকপি পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিতে হবে।
৫। ই পাসপোর্ট আবেদনপত্র: পাসপোর্ট আবেদন করার পর আঞ্চলিক অফিসে যাওয়ার সময় অনলাইন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি (পেজের দুই পাশেই প্রিন্ট করবেন)
৬। পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ: ব্যাংকে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশীদ
৭। ঠিকানার প্রমাণপত্র: বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে স্থায়ী ঠিকানার নাগরিক সনদপত্র থাকতে হবে। এবং বর্তমান ঠিকানার কমিশনার নাগরিক পত্র অথবা চাকরিরত প্রতিষ্ঠান এর প্রত্যয়ন পত্র বা আইডি কার্ড (কর্মজীবিদের ক্ষেত্রে), শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র অথবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (ছাত্রদের ক্ষেত্রে)।
৮। পুরাতন পাসপোর্ট: পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে হবে এবং মূল পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিসে নিয়ে যেতে হবে।
৯। জিডি কপি: হারানো পাসপোর্ট পুনরায় প্রিন্ট করার জন্য পাসপোর্টের ফটোকপি ও জিডির ফটোকপি দিতে হবে এবং মূল জিডি কপি প্রদর্শন করতে হবে।
১০। বৈবাহিক সনদ: প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ বা নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে। এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ডে অবিবাহিত থাকলে স্বামী বা স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড আপলোড করতে হবে।
১১। জিও বা এনওসি: সরকারি কর্মচারীদের GO, NOC বা প্রত্যয়নপত্র, PRL Order বা পেনশন বই থাকলে আপলোড করুন, এতে নিয়মিত ডেলিভারি পাসপোর্ট ফি জমা দিয়েও জরুরী সেবা তথা এক্সপ্রেস ডেলিভারি পাবেন।
ব্যাংক রশীদ, অনলাইন আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি, জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদপত্র এর ফটোকপি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে বাবা ও মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি একসাথে স্ট্যাপল দিয়ে সংযুক্ত করে বাংলাদেশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
আঞ্চলিক অফিসে যাওয়ার সময় জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদপত্র এর মূলকপি (প্রয়োজনে দেখানো লাগতে পারে) ও ফটোকপি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে বাবা ও মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের মূলকপি ও ফটোকপি সঙ্গে নিতে হবে।
অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স যদি ০৬ বছরের কম হয়:
- ৩ আর (3R Size) সাইজের (ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে
- মাতা অথবা পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে
- BRC English Version অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়:
- মাতা অথবা পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে
- BRC English Version অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ১৮-২০ বছর:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা
- BRC English Version অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক। তবে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে BRC English Version অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়েও আবেদন করা যাবে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২২
৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি:
ডেলিভারি | ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতা ই পাসপোর্ট ফি | ৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতা ই পাসপোর্ট ফি |
রেগুলার | 4,025 টাকা | 6,325 টাকা |
এক্সপ্রেস/জরুরী | 6,325 টাকা | 8,625 টাকা |
সুপার এক্সপ্রেস | 8,625 টাকা | 12,075 টাকা |
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি:
ডেলিভারি | ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতা ই পাসপোর্ট ফি | ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতা ই পাসপোর্ট ফি |
রেগুলার | 5,750 টাকা | 8,050 টাকা |
এক্সপ্রেস/জরুরী | 8,050 টাকা | 10,350 টাকা |
সুপার এক্সপ্রেস | 10,350 টাকা | 13,800 টাকা |
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবিষয়ে পরিশেষ
তাহলে পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র কি কি লাগে তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক:
- ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ অরিজিনাল ও ফটোকপি
- আবেদনের প্রিন্ট কপি
- পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ
- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার সনদ
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড/প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ড/প্রত্যয়ন পত্র
ই পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে আশা করি এবিষয়ে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। Passport korte ki ki lage এবিষয়ে যদি কোন সংশয় থাকে বা পাসপোর্ট বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
No comments:
Post a Comment