• নুসরাত কম্পিউটার

    ভর্তি চলছে!! ভর্তি চলছে!! ভর্তি চলছে!!! ***(সকাল 10 টা থেকে রাত 09 টা পর্যন্ত ) *** কম্পিউটার কোর্স এ ভর্তি হতে যোগাযোগ করুন। কল/Whatapps 01820042000 @@কোর্স শেষে সরকারি সনদ প্রদান করা হয়। যোগাযোগে: হাই প্লাজা, রামগড়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা I

    নুসরাত কম্পিউটার

    নুসরাত কম্পিউটারের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা । আমাদের সকল সেবা আপনাদের জন্য নুসরাত কম্পিউটারে জুন-ডিসেম্বর (কম্পিউটার কোর্স) -এ ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছে .. ভর্তি< হতে যোগাযোগ করুন হাই প্লাজা, রামগড়, খাগড়াছড়ি । ফোন 01820042000 বি:দ্র: কোর্স শেষে সরকারী সনদ প্রদান করা হয়।/marquee>

    Saturday, 22 November 2025

    ভূমিকম্

    বাড়ছে ভূগর্ভস্থ চাপ, বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা ‘বাড়ছে ভূগর্ভস্থ চাপ, বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবারের ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। যে কোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভূগর্ভেও বাড়ছে চাপ। শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার মতো অবস্থা সেখানে বিরাজ করছে। এই অঞ্চলের ভূমিকম্প জোন-আসাম ফল্ট, ডাউকি ফল্ট ও উত্তর-পূর্বে মিয়ানমারের সেগাইং ফল্টের চ্যুতি দিনে দিনে বাড়ছে। যা ভূমিকম্প হওয়ার মতো পরিবেশ ভূগর্ভে ত্বরান্বিত করছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের মানুষ ৫.৭ মাত্রার যে ভূমিকম্প দেখল তা এখানেই থেমে থাকবে এমনটি নয়। যে কোনো সময় দেশে ৬-৭ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই মাত্রা বা তার কাছাকাছি মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার মতো অবস্থা ভূগর্ভে তৈরি হয়ে আছে। ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে বাংলাদেশ তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার বিষয়বস্তু তুলে ধরে শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, ওই গবেষণায় দেখা যায়, এ অঞ্চলে ভূগর্ভে দুটি প্লেট ধাবিত হচ্ছে। ইন্ডিয়া প্লেট পূর্বদিকে যাচ্ছে। বার্মা প্লেট পশ্চিমের দিকে আসছে। বার্মা প্লেটের নিচে ইন্ডিয়া প্লেট তলিয়ে যাচ্ছে। এটিকে বলে ‘সাবডাকশন জোন’। জিপিএসে পরিমাণ করে দেখা গেছে, প্রতিবছর ১ মিটার থেকে দেড় মিটার সংকোচন হচ্ছে। সে হিসাবে এই জোনে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে প্রতি ১০০-১৫০ বছর পরপর ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হানা দেয়। আর প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ বছর পরপর সংঘটিত হয় ৮ মাত্রার ভূমিকম্প। সে হিসাবে বাংলাদেশে সামনে ৬-৭ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা খুবই জোরালো। গত ৫-৬ বছরে ভূমিকম্পের হারও বেড়েছে। শুক্রবারের ভূমিকম্পকে দেশে বড় ভূমিকম্পের আরেকটি আভাস-এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আর্থকোয়াক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী। তিনি যুগান্তরকে বলেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পটির গভীরতা প্রায় ১০ কিলোমিটার। এটি ২০ সেকেন্ডের মতো স্থায়ী হয়। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও তার আশপাশের অঞ্চলে ১০০-১৫০ বছরের মধ্যে ৬টি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ১৮৬৯ সালে ৭.৬ মাত্রার কাছাড় ভূমিকম্প, ১৮৮৫ সালে ৭.১ মাত্রার বেঙ্গল ভূমিকম্প, ১৮৯৭ সালে ৮.১ মাত্রার গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্প এবং ১৯১৮ সালে ৭.৬ মাত্রার শ্রীমঙ্গল ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগের ইতিহাস রয়েছে এ অঞ্চলে। ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ভূমিকম্পের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ৭ মাত্রার ভূমিকম্পগুলো ১০০ থেকে ১২৫ বছরের মধ্যে থাকে। আর যেগুলো ৮ মাত্রার সেগুলো সংঘটিত হয়েছে ২৫০-৩০০ বছর পরপর। ১৯৩০ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। কিন্তু অতীতের তথ্যের সঙ্গে মেলালে দেখা যায়, এ ধরনের বড় ভূমিকম্প আমাদের এই এলাকায় হওয়ার আশঙ্কা আছে। বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়, যা ইতোমধ্যে অনেকগুলো হয়েছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, আগে বাংলাদেশের আশপাশের দেশ ছিল বড় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এবার সেটি ধরা দিয়েছে খোদ দেশের মাঝেই। দেশের ইতিহাসে ঢাকার সবচেয়ে কাছে উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদীতে। এটি ছিল ঢাকার আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার পূর্বে। ঢাকার এত কাছে এত বড় মাত্রার ভূমিকম্প এটাই প্রথম। যা ভয়ের কারণ হিসাবে দেখছেন তারা। যদিও ঢাকা ও এর আশপাশে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল আগেও ছিল। পার্থক্য এতটুকুই-সেগুলোর মাত্রা ছিল কম। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান রুবাইয়াত কবির যুগান্তরকে বলেন, অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। ইন্ডিয়ান ও ইউরোশিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলে এর অবস্থান। দেশের কিছু কিছু এলাকা অনেক বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়ে রুবাইয়াত কবির বলেন, দেশের ‘আর্থকোয়েক রিস্ক জোন’-এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এর মধ্যে রয়েছে সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা। অন্যদিকে দেশের মধ্যাঞ্চলের মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার-এগুলো ভূমিকম্পের মাঝারি ঝুঁকিতে আছে। তবে খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চল সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে। প্রথম আলো দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ভূমিকম্পে নিহত ১০, ঢাকায় তীব্র ঝাঁকুনি’। খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে কাঁপল ঢাকা শহর। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায়। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতেও। ভূমিকম্পের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে দেয়াল ধসে পড়েছে। কোনো ভবনের রেলিং ও অংশবিশেষ ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। অনেকেই ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১০ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নরসিংদীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন ও নারায়ণগঞ্জে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায় এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে এটার উৎপত্তি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার মাঝারি এ ভূমিকম্পকে স্মরণকালের মধ্যে কম্পনের তীব্রতার দিক থেকে নজিরবিহীন বলছেন ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞরা। ইউএসজিএস বলছে, বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ হলেও কেন্দ্রীয় অঞ্চল তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকে। ১৯৫০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকার ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫ দশমিক ৫ বা তার বেশি মাত্রার ১৪টি ভূমিকম্প হয়েছে—এর মধ্যে দুটি ছিল ৬ মাত্রার। আর গতকাল নরসিংদীর মাধবদীর ভূমিকম্পটি ছিল ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটির তীব্রতা এত বেশি কেন জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞ মেহেদি আহমেদ আনসারী প্রথম আলোকে বলেন, এ ভূমিকম্প ঢাকার খুব কাছে হয়েছে। এর আগে এখানে ৪ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হয়নি। মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, এর আগে ২০২৩ সালে রামগঞ্জে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল। সেটি ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। এবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ঢাকার দূরত্ব সেই তুলনায় অনেক কম। কালের কণ্ঠ দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি’। খবরে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তাতে গণভোটের প্রস্তুতির বিষয়টি স্থান পায়নি। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে একই সঙ্গে গণভোটের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। গণভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অসন্তোষও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের নির্দেশনা পেলে গণভোটের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করবে তারা। সূত্র মতে, বিদ্যমান সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। তাই গণভোটের জন্য নতুন আইন প্রয়োজন। এরই মধ্যে সরকার এই আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে এসংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি এবং ভোটের আগেই এসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে বিধিমালা প্রণয়নে পদক্ষেপ নেবে ইসি। তবে অতীতে একই দিন এ ধরনের দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা না থাকায় ইসির কর্মকর্তারা অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছেন। এসংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়নে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের জন্য অতিরিক্ত ব্যালট বাক্স সংগ্রহ এবং জনবল নিয়োগ দিতে হবে। এর বাইরে আরো কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে। এ জন্য ইসির ব্যয় ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় গত ১৩ নভেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। একই দিনে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ জারি করা হয়। সমকাল ‘কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে ঢাকার চারপাশ’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, যেসব এলাকায় গভীর ভূচ্যুতি থাকে, সেখানে দুইশ-আড়াইশ বছর পরপর মাঝারি বা বড় ভূমিকম্প আসতে পারে। সেই সময়চক্রের ভেতর ঢুকে গেছে বাংলাদেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গত ৪৮৫ বছরের ভূমিকম্প তালিকাভুক্ত করে দেখিয়েছে– ঢাকা ও আশপাশে ঐতিহাসিকভাবে মাত্র ছয়টি ভূমিকম্প হলেও গত ১২ বছরে সংখ্যাটা দশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রস্থলও বদলে গেছে। আগে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বেশি ছিল। এখন মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, দোহার ও নরসিংদীর দিকে সরে এসেছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার সমকালকে বলেন, এখানকার ভূগর্ভে বার্মা প্লেটের নিচে ইন্ডিয়ান প্লেট চাপা পড়ে শক্তি জমছে, যা কখন মুক্তি পাবে, তা কেউ জানে না। তবে হিসাব বলছে, ঝুঁকির দিকটা সামনের দিকে আরও বাড়ছে; কমছে না। ১৮৬৯ থেকে ১৯৩০– এই ৬১ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে পাঁচটি বড় ভূমিকম্প হয়, যার সবই রিখটার স্কেলে ৭-এর ওপরে। এরপর দীর্ঘ নীরবতা। অনেক বিশেষজ্ঞ এটাকেই বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে দেখেন। যেন বড় একটি চাপ জমে আছে; বের হওয়ার পথ খুঁজছে। ২০২৪ থেকে রেকর্ড হওয়া ৬০টি ভূমিকম্পে দেখা গেছে, ৩১টি ছিল ৩-৪ মাত্রার মধ্যে। তিনটি ছিল ৪ মাত্রার ওপরে। বাংলাদেশের বাইরে নেপাল, ভুটান, ভারত, চীনেও একই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, যা দেখায়– পুরো অঞ্চলই এখন অস্থির বৈশ্বিক ভূতাত্ত্বিক চাপের ভেতর আছে। সমস্যা হলো, এ ধরনের সতর্কতা অনেক বছর ধরে শোনা গেলেও বাস্তব উদ্যোগ গতি পায় না। ঢাকার ছয় লাখ ভবনের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ম মানে না– এটা অনেকবার রিপোর্টে এসেছে। নতুন ভবনেও একই অবস্থা। বিল্ডিং কোড কার্যকর করার কথা বারবার বলা হলেও বাস্তবে এটি প্রায় অকার্যকর। জরুরি প্রস্তুতির বিষয়ও বেশ নড়বড়ে। ঘূর্ণিঝড় গবেষণা কেন্দ্রে যন্ত্রপাতি থাকলেও ব্যবহার হয় না। উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ২০১৫ সালে অনুমোদন পেয়েছে; কাজ এখনও পুরো হয়নি। জনবল নেই, ‘মোবিলাইজেশন’ নেই, অনুশীলন নেই। ইত্তেফাক দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর সাত মাসেও ভাঙা হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪ ভবন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত মাসেও ভাঙা হয়নি ঢাকা ও আশপাশের জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের 'অতি ঝুঁকিপূর্ণ' ৪৪ ভবন। গত এপ্রিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সুপারিশের ভিত্তিতে এসব ভবন দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে সেই নির্দেশনায় পাত্তা দেয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ক্লাস-পরীক্ষা সবই চলে আসছে এসব ভবনে। গতকালের ভূমিকম্পের পর এসব ভবন ছাড়াও রাজধানীর তিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ভবনের ভেতরে কাচের দরজা ভেঙে গেছে। কয়েক জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশ। ভূমিকম্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হলের ভবনে ফাটল ধরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল, কবি জসীমউদ্‌দীন হল, স্যার এ এফ রহমান, মোকাররম ভবন, শেখ ফজলুল হলসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। স্যার এ এফ রহমান হলের ১০৫ নম্বর কক্ষের আসবাবপত্র ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পে শামসুন নাহার হলের একটি ভবনের মিড বিল্ডিংয়ের একটি অংশে ফাটল ধরেছে। এছাড়া বারান্দায় অনেকটুকু জায়গা ফাঁকা হয়ে পড়েছে কবি জসীমউদ্দীন হলের দক্ষিণ ভবনের তৃতীয় তলায় পলেস্তারা ভেঙে পড়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবনের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। শেখ মুজিব হলের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে ফাটল ধরেছে। ঢাবির ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) ভবনে ভূমিকম্পের ফলে দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত দুই বছরে অসংখ্যবার চিঠি দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি তদবির করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পথ আটকে দেন। গত এপ্রিলেও সর্বশেষ আরেক দফায় চিঠি দেওয়া হয়। এসব চিঠিতে কখনো বলা হয়েছিল ৭ দিনের মধ্যে ভবন ভাঙতে হবে। আবার কোথাও বলা হয়েছিল দুই সপ্তাহের মধ্যে ভবন ভেঙে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে। কিন্তু কেউ ভবনগুলো ভেঙেছে বা কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে আমাদের কাছে কোনো তথ্য আসেনি। তিনি বলেন, 'গতকাল যে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলো, তাতে হয়তো আগামী কর্মদিবসে আবার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙার ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হতে পারে। শুধু চিঠি না দিয়ে ভবন না ভাঙা পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখার নোটিশ দিলে হয়তো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।' মাউশির তালিকাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন: 'আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন রাজউকের তালিকায় থাকা 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ভবন ৪৪টি। এগুলো হলো, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মিরপুর-১ নম্বরের সরকারি বাঙলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি কদম রসুল কলেজ, গাজীপুরের সরকারি কালিগঞ্জ শ্রমিক কলেজ, ডেমরার হায়দার আলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর-১৩ নম্বরের হাজী আলি হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, সূত্রাপুরের কবি নজরুল সরকারি কলেজ, গাজীপুরের কালিগঞ্জ আর আর এন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, কেরানীগঞ্জ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকার সায়েদাবাদের করাতিটোলা সিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তার শ্যামলনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কদমতলীর একে উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ডব্রাইট কলেজ, বাড্ডার এ কে এম রহমাতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কদমতলীর কে এম মাইনুদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (মিঠাব), আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কোতোয়ালি থানার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি, গোড়ানের আলী আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্টনের আরামবাগ উচ্চ বিদ্যালয় ও লালবাগের আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়। নয়া দিগন্ত ‘সবজির দাম হঠাৎ বেড়েছে’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার প্রতিবেদন। খবরে বলা হয়, মাত্র তিন-চার সপ্তাহ আগেই শীতকালীন সবজির আগাম সরবরাহে দাম কমেছিল রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোতে। এরপর অনেকটাই নাগালে চলে আসে সবজির দাম। এমনকি গত সপ্তাহেও দামে স্বস্তি ছিল। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের শীতের সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে এখন শিম, মুলা, শালগম, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে শীতের সবজি কিনতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন ভোক্তারা। হঠাৎ এভাবে দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতাদের অনেকে। শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত প্রায় তিন-চার সপ্তাহ সবজির সরবরাহ বেড়েছিল। যে কারণে দামও কম ছিল। এর মধ্যে শেষ সপ্তাহে সরবরাহ ঘাটতির কারণে দাম আবারো বেড়েছে। মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন রহমান বলেন, গত কয়েকদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি, যানবাহনে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে পণ্য সরবরাহ কমে এবং দাম বেড়ে যায়। বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি যখন আসতে শুরু করে তখন তা ছিল ছোট আকারের। এক সপ্তাহের মধ্যেই বড় আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে আসতে শুরু করে। তবে তখনো প্রতিটি কপির দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। এখনো কপির দাম কমেনি। শীতের সবজির মধ্যে পরিচিত হচ্ছে শিম। প্রতি কেজি শিম সপ্তাহ দুই আগেও ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছিল। কিন্তু এখন আবারো বেড়ে ১০০-১২০ টাকায় উঠেছে। প্রতি কেজি নতুন বেগুনের দাম খানিকটা কমলেও এখনো ভোক্তার সহনীহ পর্যায়ে আসেনি। বাজারে নতুন আসা বেগুন আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি মুলার দাম এখনো ৪০-৫০ টাকা। এ সপ্তাহে বাজারে নতুন শালগম এসেছে, যা বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ৬০-১০০ টাকা দরে। এ ছাড়া শীতের জনপ্রিয় শাক পালংয়ের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা দরে। সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আবু আলী বলেন, শীতের সময় ভোক্তারা কম দামে সবজি কিনে অভ্যস্ত। সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে আরো খানিকটা সময় লাগবে। রাজধানীর বাজারগুলোতে বরবটি, করলা ও কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছিল ৬০-৭০ টাকায়। শীতের সবজির দাম বাড়ায় সেগুলোর দামও কিছুটা বেড়েছে। এসব সবজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে। ঢ্যাঁড়স ও পটলের দামও খানিকটা বেড়েছে, ৪০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকার মধ্যে। বাজারের কিছু কিছু দোকানে নতুন আলু এসেছে। দামও চড়া। প্রতি কেজি নতুন আলু কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। তবে পুরোনো আলুর দাম এখনো তলানিতে; বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকার মধ্যে। বণিক বার্তা দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘ফিটনেস সনদ ছাড়াই চালানোর সিদ্ধান্ত, যাত্রী সংকটে বাতিল প্রথম যাত্রা’। খবরে বলা হয়, ভাড়া চূড়ান্ত না হওয়া এবং যাত্রী সংকটে ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদের উদ্বোধনী যাত্রা বাতিল হয়েছে। পর্যটন সার্ভিস হিসেবে গতকাল স্টিমারটির ঢাকা-বরিশাল নৌপথে আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। গত ১৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় শতবর্ষী এ জাহাজটি। বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ঢাকা থেকে বরিশাল ছেড়ে যাবে নৌযানটি। বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা বৈঠক হলেও প্যাডেল স্টিমারের ভাড়া নির্ধারণ করা যায়নি। আগাম টিকিট বুকিংও আশানুরূপ হয়নি। মাত্র তিন-চারজন যাত্রী বুকিং করায় উদ্বোধনী যাত্রা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমারটি ফিটনেস সনদ ও গেজেট ছাড়াই চালানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই নৌযানটি পানিতে ভাসানো হয়েছে বলে দাবি নৌ আইন বিশ্লেষকদের। শিগগিরই জাহাজটি বেসরকারি পর্যটন খাতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনাকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি। এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসির একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানায়, ‘ঢাকা-বরিশাল রুট অনেক দীর্ঘ পথ, এত দূরের পথ ভ্রমণ করার সক্ষমতা জাহাজটির নেই। এ কারণে ২১ নভেম্বর প্রথম যাত্রায়ও আমাদের টার্গেট ছিল জাহাজটি চাঁদপুর টার্মিনালে বেশ কিছুক্ষণ বিরতি দেয়ার পর বরিশালের উদ্দেশে পুনরায় যাত্রা করবে। পরবর্তী সময়ে নৌযানটি বেসরকারি পর্যটন শিল্পের কাছে দেয়া হবে। এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে জাহাজটি বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ সূত্র আরো জানায়, বিনিয়োগকারীদের ভাষ্য, ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে জাহাজটি দিয়ে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। তবে এটি ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ-চাঁদপুর অথবা পদ্মা সেতুর আশপাশে দিনব্যাপী বা অর্ধদিন চালাতে পারলে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। এতে পর্যটন ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ দুই উদ্দেশ্যই সফল হবে। বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবের আলোকেই সরকার বিভিন্ন শর্ত বেঁধে দেবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, গতকাল পিএস মাহসুদের প্রথম যাত্রার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বৈধ যাতায়াতের অনুমতি মেলেনি নৌযানটির। এ নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানায়, এর আগেও সরকার শতবর্ষী নৌযানটি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দুই ট্রিপ চালানোর পর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের (ডিওএস) আপত্তির কারণে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া, জাহাজটি বন্ধ করার পেছনে যাত্রী সংকট ও অতিরিক্ত জ্বালানি খরচের বিষয়টিও ছিল বলে জানায় সূত্র। তিন বছর বন্ধ থাকার পর নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার আগ্রহে বিআইডব্লিউটিসি নতুন করে শতবর্ষী নৌযানটি চালানোর উদ্যোগ নেয়। এজন্য ডিওএসের কাছে পিএস মাহসুদের ফিটনেস-সংক্রান্ত সনদ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। ডিওএস নৌযানটিতে ২১ ধরনের ত্রুটির বিষয়ে উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিসিকে অবহিত করে। আজকের পত্রিকা ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি: অপরিকল্পিত নগরায়ণে মৃত্যুফাঁদ রাজধানী’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে বিশ্বের যেসব নগরী অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তার একটি হলো ঢাকা। কিন্তু ঝুঁকি নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা অনেক বছর ধরেই বলে আসছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণে দিনে দিনে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে এই নগরী। শক্তিশালী ভূমিকম্পে যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে ঢাকার অসংখ্য ভবন। গতকাল শুক্রবারের ভূমিকম্পকে মহাবিপর্যয়ের একটি সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। ভূতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে। বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে টেকটোনিকে বড় ফল্ট আছে। গুলশান লেক থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের অনেক এলাকাই ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত। ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ার ওপর নির্ভর করে যেকোনো সময় ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প ঢাকাতে আঘাত হানতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে রাজধানীতে নেই কার্যকর প্রস্তুতি। রাজধানীতে গত চার দশকে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। বেপরোয়া হারে বেড়েছে উঁচু ভবন। কিন্তু নগরায়ণ হয়েছে নিছক বাজার চাহিদার ভিত্তিতে; যেখানে পরিকল্পনা, বিল্ডিং কোড, সড়কের প্রশস্ততা বা উন্মুক্ত জায়গা সংরক্ষণ—কোনোটিই যথাযথ অনুসরণ করা হয়নি। বিস্তৃত ফুটপাত, উদ্ধার পথে গলি খোলা রাখা, ভবনগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত দূরত্ব রাখা—এসব নিয়ম কাগজে আছে, বাস্তবে নেই। রাজউকের নির্দেশনা অনুযায়ী, বহুতল ভবন নির্মাণে ‘সয়েল টেস্ট’ থেকে শুরু করে ‘স্ট্রাকচারাল ডিজাইন’ সবই অনুমোদনসাপেক্ষ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অসংখ্য ভবন কোনো প্রকৌশলী ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। অনেক ভবনের নকশা অনুমোদিত নয়, অনেক ভবনে অনুমোদিত নকশার বাইরে অতিরিক্ত তলা যোগ করা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সমীক্ষা বলছে, ঢাকার ৯৪ শতাংশ ভবনই অবৈধ ও অনুমোদনহীন। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, ‘এমন নির্মাণ ঢাকাকে একটি মৃত্যুনগরীতে পরিণত করেছে।’ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, ঢাকা শহরে প্রায় ২১ লাখ বাসা রয়েছে। তার মধ্যে ১৫ লাখ একতলা-দোতলা বাসা। চার থেকে ছয়তলা ভবন প্রায় ৬ লাখ। ১০ তলা ও ২০ তলা ভবনও রয়েছে অনেক। একটি বড় ভবন ধসে পড়লে কতটা ক্ষতি হতে পারে, তা বোঝাতে গিয়ে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি। গতকালের ভূমিকম্পের বিষয়টি তুলে ধরে অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, ‘রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকা শহরের যত স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ভূমিকম্প ৭ মাত্রার হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেড়ে যাবে। ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এমন ভূমিকম্প হলে ২-৩ লাখ মানুষ হতাহত হবে, ঢাকা শহরের ৩৫ শতাংশ ভেঙে পড়ার শঙ্কা আছে, অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। দেশ রূপান্তর দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘২ বছর বেতনহীন ৪১ শিক্ষক-কর্মচারী’। প্রতিবেদনে বলা হয়, কিশোরগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘স্বেচ্ছাচারিতায়’ দুই বছরের বেশি সময় ধরে নন-এমপিও ২৯ শিক্ষক ও ১২ কর্মচারী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বেতন চাইলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিনা কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং বেতন-ভাতা বন্ধ করে রাখেন। তার কারণে দুই বছর ধরে বেতন হচ্ছে না তাদের। ১৯৮২ সালে ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত হয় ১৯৮৪ সালে। বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩ হাজার ৩০০। কলেজটির বার্ষিক আয় প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ, আর ব্যয় প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, কলেজে ফান্ডের অভাব নেই। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সঠিক আয়-ব্যয়ের হিসাব গোপন করে রেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক বলেন, ‘দুই বছরের অধিক সময় বেতন পাই না। উনি কলেজেও নিয়মিত আসেন না। কাউকে দায়িত্ব দেন না এবং ছুটিও নেন না। কলেজের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজেও আমরা তাকে পাই না।’ কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত করার দায়িত্ব পায়, যা আগে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির হাতে ছিল। তবে শিক্ষকের সংকট থাকলে কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে এনটিআরসিএর অনুমোদনক্রমে পূর্ণকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে। শিক্ষকরা বলেন, ‘শুধু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সদিচ্ছার অভাবে আমরা বেতন পাচ্ছি না।’ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, ‘ফান্ড নেই, কিন্তু আমাদের তো একটা হিসাব আছে। বাংলাদেশের একমাত্র কলেজ, যেখানে বিনা বেতনে চাকরি করতে হচ্ছে। আমাদের দুরবস্থা দেখার মতো কেউ নেই।’

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Mahamudul Hasan

    Mahamudul Hasan
    Director@NusratComputer

    Beauty

    নুসরাত কম্পিউটারের সাইট এ ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সব সময় নতুন কিছু জানতে আমাদের You Tub Chanel ‘‘DST TV’’ অথবা ‘‘NCTC’’ তে লাইক কমেন্ট ও Subscribe করুন। #myNavbar > marquee:nth-child(3)

    Travel